চাচার আঁড়ী হাড়ীতে বাঢ়ি




জি, মোস্তফা


বংশের নয় রক্তের নয়, পাড়াতে আছে বাসা,
সেই সুত্রে ডাকা হয় চাচা, সমাজ নীতিতে আসা।
আফতাব তার আসল নাম, ডাক নাম পান্ডার,
স্বভার চরিত্রে সংসার বিবেকে, যেন ভান্ডার।
চাচির কৃপণতা বুদ্ধি বলে, চাচা ঘোরে কলে,
অল্প সময়ে চাচার সংসারে, সুখ আসে চোখ মেলে।
বাড়ির এখান দোকান ধরে, চাচির সুখের ত্বরে,
সেই সুবাদে আনি ফকির, মোসলেমগঞ্জ হাট করে।
বাড়িতে কেউ বাঁকির ছেলে, বড়ি নিতে এলে,
বাঁকিতে নাই বেচাকেনা, চাচিই দিতে বলে।
হাতের তালুতে যদি বাজে, পয়সার ঝনঝনানি,
চাচা বলে আফজালের মা, দেখনা ঐ কোণে।
কৌটার মধ্যে আছে বোধ হয়, একটি কি এক পাতা,
টাকার মাত্রায় সন্দেহে চাচা, বলে সেই সব কথা।
সংসারে তাদের ছেলে দুইখান, জাবের আর জাইদুল,
বড় ছেলে আফজাল কে করে, কেড়ে নিছে রাব্বুল।
দুষ্টামিতে ছেলেরা যদি করে, কোলা হল,
চাচি তখন বকে দিতে, ওরে ও সগনির ছল।
চাচাকে বলত বাঁধ ওদের চকির পায়ার সাথে,
সুঁই দিয়ে ওদের চোখ সেলাই কর, মাড় না দিয়ে ভাত।
গুড় কিনে চাচা ছেলেদের জন্য, দশ সের কি আধমন,
উঠতে বসতে সারা বছর খায়, কমেনা এক কোন।
চাচিরে খুব ভালবাসে, সংসার রমণী ভেবে,
চাচির মেজাজে চাচা সাহস, হারিয়েছে সেই কবে।
হঠাৎ করে চাচা যদি বাড়িতে না খায় ভাত,
বোঝতে হবে চাচিঁর উপর রাগের প্রতিবাদ।
কোন কোন দিন রাগ করে চাচা লাঠি হাতে ধরে,
চাচিকে না মেরে চাচা গরুকে ধরে মারে।
একদিন চাচা বৃক্ষের নীচে আঁড়ে আঁড়ে আছে চেয়ে,
অপলক দৃষ্টে উদাসির পানে, চোখ দুটি গেছে ছুঁয়ে।
জিজ্ঞাসিলাম চাচা মিয়া, তাবিয়ত কি ভারী-
গম্ভীরে চাচা জবাব দিল, কি জানি বা,
তোর চাচির উপর রাগ করে আজ, ভাঙ্গিলু সব হাড়ী।
সমাপ্ত
চাচার আঁড়ী হাড়ীতে বাঢ়ি চাচার আঁড়ী হাড়ীতে বাঢ়ি Reviewed by Unknown on 4:43 PM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.